মেহেরপুরে মধ্যপ্রাচ্যের খেজুর চাষ

মেহেরপুর মুজিবনগরে পরীক্ষামূলক মধ্যপ্রাচ্যের খেজুর চাষ শুরু হয়েছে। ১০টি জাত নিয়ে এ চাষের যাত্রা শুরু হয়। মুজিবনগর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কুষ্টিয়া ২০১৪ সালে এ খেজুর চাষ শুরু করে। মুজিবনগর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরের পূর্ব পাশে ২ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়। বর্তমানে এ গাছের বয়স চার বছর। এ বাগান তত্ত্বাবধান করছেন মহিবুল ইসলাম। তিনি কুষ্টিয়া ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের একজন নিয়মিত কর্মচারী। মহিবুল বলেন, গাছগুলো এ দেশে আনতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা কাস্টমস ট্যাক্স দিতে হয়েছে। গাছগুলো আনা হয়েছে আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরান, ওমান, কাতার এবং সুদান থেকে। ১০টি জাত আছে এ বাগানে যেমন মরিয়ম মাকতুম, বাহারি, সুক্কারি, কালামি, ডেগলেথ নূর, খালাস, লুল, আম্বার ও আজওয়া। চলতি বছর ১০টি গাছে ফল ধরেছে। স্বাদ এবং আকারে মধ্যপ্রাচ্যের খেজুরের মতোই।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শহিদুল্লাহ্ বলেন, এটা একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প, এই চাষে কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বর্ষাকালে পুষ্পমঞ্জুরীকে ঢেকে দিতে পারলে মধ্যপ্রাচ্যের মতোই ফল উত্পাদন সম্ভব। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অভিজিত্ সাহা বলেন, এ প্রকল্পটি সফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, এখানকার আবহাওয়া ও মাটি খেজুর চাষের জন্য উপযোগী। মেহেরপুরের মাটিতে প্রায় সব ধরনের আবাদ করা সম্ভব। তবে ধান গবেষণা কেন্দ্রের উচিত ছিল মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে কাজটি করা। তাহলে আরও ভালো হতো।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা আক্তার বলেন, এখানে মুজিবনগর আম্রকাননের মতো খেজুর বাগানও অন্যরকম একটা আকর্ষণ হয়ে উঠবে পর্যটকদের কাছে।